হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ট‍্যাঙ্ক সারেঙ্গার ফতেডাঙা গ্ৰামে

22nd January 2020 বাঁকুড়া
হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ট‍্যাঙ্ক সারেঙ্গার ফতেডাঙা গ্ৰামে


ভরদুপুরে হুড়মুড়ি ভেঙ্গে পড়লো পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের ট্যাঙ্ক। বাঁকুড়ার সারেঙ্গার ফতেডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা। বুধবার দুপুরের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঐ জলের ট্যাঙ্কটির নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর নেই।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুই আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের উদ্যোগে এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য ফতেডাঙ্গা গ্রামে এই ট্যাঙ্কটি তৈরী হয়। এই প্রকল্পে স্থানীয় গড়গড়্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষকে পানীয় জল সরবরাহ করা হতো। এদিন দুপুর ৩ টা নাগাদ ফতেডাঙ্গা গ্রামের ঐ জলের ট্যাঙ্কটি সশব্দে ফেটে যায়। হঠাৎই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ার ফলে এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়।

  এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ঐ জলপ্রকল্পের কর্মী সাগুন মুর্ম্মু বলেন, মাত্র পাঁচ দশ মিনিটের মধ্যে সশব্দে ঐ জলের ট্যাঙ্কটি ভেঙ্গে পড়ে। আল এক প্রত্যক্ষদর্শী অর্চণা হেম্ব্রমের কথায়, বিকট আওয়াজ পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি জলের ট্যাঙ্কটি ভেঙ্গে পড়ছে। দীর্ঘদিন এই জলই তারা পানীয় হিসেবে ব্যবহার করতেন। এবার তাদের সমস্যায় পড়তে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।  স্থানীয় বাসিন্দা দেবেন মুর্ম্মুর দাবী, নির্ম্মাণকাজে গাফিলতি থাকার কারণেই এই জলের ট্যাঙ্কটি ভেঙ্গে পড়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে সারেঙ্গা থানার পুলিশ পৌঁছেছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও হতাহতের কোন খবর নেই বলেই জানানো হয়েছে।

          ছবি - দেবব্রত মন্ডল

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।